শপিফাই মানে কি?

শপিফাই (Shopify) এটি একটি পরিচালিত ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম, যা ব্যবসায়ীদের জন্য ওয়েবসাইট তৈরি করার ও ব্যবসা চালার জন্য একটি পূর্ণব্যাবসায়িক সমাধান প্রদান করে। এটি সম্পূর্ণ সহজ ও ব্যবসায়িক মাধ্যমে একটি অনলাইন দোকান তৈরি এবং পরিচালনা করতে সাহায্য করে। শপিফাই-এর মাধ্যমে আপনি আপনার পণ্য বা পরিষেবা বিক্রয় করতে পারেন, অর্ডার প্রসেস করতে পারেন, পেমেন্ট প্রসেসিং করতে পারেন, স্টক পরিচালনা করতে পারেন এবং আপনার অনলাইন ব্যবসা গ্রোয় করতে পারেন। এটি একটি সহযোগী প্ল্যাটফর্ম যা ছোট থেকে বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য উপযুক্ত এবং ব্যবসায়িক ওয়েবসাইট তৈরি ও পরিচালনা করার সুযোগ সরবরাহ করে।

Shopify এর সুবিধা কি?

শপিফাই এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এর সেটআপ। সাধারনত কোন ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম বা ওয়েবসাইট প্রতিষ্ঠা করতে গেলে ওয়েব ডেভেলপারের প্রয়োজন পড়ে।এছাড়া ডেভেলপ করার পর সাইটের এডমিন প্যানেল ম্যানেজ করাটাও বেশ জটিল ও ঝামেলার একটি কাজ। এ কারনে অনেক সময় আলাদা করে এডমিন প্যানেল ম্যানেজ করার জন্য এমপ্লয়ি হায়ার করতে হয়। কিন্তু শপিফাই তে এধরনের কোন ঝামেলা নেই।

কোন ধরণের প্রোগ্রামিং ছাড়াই শুধু নির্দিষ্ট কিছু কাজের মাধ্যমেই আপনি গড়ে তুলতে পারবেন আপনার একান্ত নিজস্ব একটি ইকমার্স প্ল্যাটফর্ম। আর এর অসংখ্য ফ্রি বিল্ট ইন থিম ব্যবহার করে আপনার সাইটকে করে তুলতে পারেন আকর্ষণীয়।

শপিফাই এর এডমিন প্যানেল ম্যানেজ করাটাও তুলনামূলক সহজ। যাদের ওয়ার্ড প্রেস সাইট বা ব্লগ ম্যানেজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাদের জন্য একেবারে পানির মত সোজা। আর যাদের অভিজ্ঞতা নেই তারাও এমনকি সামান্য কিছু প্র্যাকটিসের মাধ্যমেই হয়ে উঠতে পারবেন দক্ষ।

শপিফাই এক্সপার্ট হতে হলে কি কি জনা লাগবে ?

আপনি যদি Shopify তে এক্সপার্ট হতে চান তাহলে শপিফাই স্টোর সেটাপ, থিম কাস্টমাইজেশন, পেইজ বিল্ডার, পেমেন্ট গেটওয়ে সেটাপ এসব জানতে হবে। তো চলুন জেনে নিই লিস্ট আকারে Shopify তে এক্সপার্ট হতে হলে কি কি জানা লাগবে সে বিষইয় গুলো।

শপিফাই কেন এত জনপ্রিয়?

শপিফাই একটি জনপ্রিয় সিএমএস । একটি ওয়েবসাইটের যাবতীয় কনটেন্ট কোন উপায়ে প্রদর্শণ করা হবে তা নির্ধারণ করার জন্য যা ব্যবহার করা হয় তাই মূলত সিএমএস। শপিফাইকে একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট বিল্ডের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ফ্রেমওয়ার্ক বলা যেতে পারে। যে কোন ধরণের প্রোডাক্ট স্টোর, অনলাইন স্টোর এবং ই-কমার্স ওয়েবসাইট নিমিষেই বিল্ড করা সম্ভব প্রচুর ফিচার সমৃদ্ধ এই সিএমএস এর মাধ্যমে।

 সবচেয়ে মজার বিষয় হল এর সাহায্যে একজন নন-কোডার ইজিলি একটি ওয়েবসাইট তৈরী করতে পারেন। তার মানে শপিফাই ব্যবহার করে কোন স্টোর বিল্ড করতে কোন প্রকার কোডিং নলেজের প্রয়োজন পড়ে না।

কোন ধরণের প্রোগ্রামিং ছাড়াই শুধু নির্দিষ্ট কিছু কাজের মাধ্যমেই আপনি গড়ে তুলতে পারবেন আপনার একান্ত নিজস্ব একটি ইকমার্স প্ল্যাটফর্ম। আর এর অসংখ্য ফ্রি বিল্ট ইন থিম ব্যবহার করে আপনার সাইটকে করে তুলতে পারেন আকর্ষণীয়।

শপিফাই এর এডমিন প্যানেল ম্যানেজ করাটাও তুলনামূলক সহজ। যাদের ওয়ার্ড প্রেস সাইট বা ব্লগ ম্যানেজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাদের জন্য একেবারে পানির মত সোজা। আর যাদের অভিজ্ঞতা নেই তারাও এমনকি সামান্য কিছু প্র্যাকটিসের মাধ্যমেই হয়ে উঠতে পারবেন দক্ষ।

কোর্স ফী

১৫,০০০ টাকা

Classes

সপ্তাহে তিনদিন (শুক্রবার, শনিবার, রবিবার)

Duration:

৩ মাস

Shopify এর ভবিষ্যৎ

যেহেতু শপিফাই ইকমার্সসহ অনলাইন প্রোডাক্ট স্টোর তৈরী করতে সহজলভ্য একটি সিএমএস। মার্কেটে দেখা যায় এটি অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি মাধ্যম যা ব্যবহার করে ইজিলি ওয়েবসাইট বিল্ড করা সম্ভব। অনেক বেশি জনপ্রিয় আর সেই সাথে মার্কেটপ্লেসে প্রচুর চাহিদা থাকার দরুণ আমরা বলতেই পারি যে শপিফাই এর ভবিষ্যৎ অনেক উজ্জল আর জাঁকালো। এটি শিখলে অনলাইন থেকে অনেক বেশি পরিমাণ অর্থ আয় করা সম্ভব। কি বলেন মামা?? 😊 তাই?? 😉 শপিফাই শিখলে সত্যিই কি আমি হাজার হাজার টাকা আয় করতে পারবো? 💁🏻 জ্বি ভাগিনা, পারবেন। অনেকেই করছে। আপনি কেন পারবেন না। তবে একজন দক্ষ ডেভেলপার হিসেবে নিজেকে কিন্তু গড়ে তুলতে হবে। আপনার শ্রম আর ইচ্ছা শক্তিকে কাজে লাগিয়ে এগিয়ে চলুন অনলাইন আয়ের বিশাল সম্রাজ্যে এই শুভ কামনায় 🤲🏻

শপিফাই থেকে কিভাবে আয় করা যায়?

যারা শপিফাই এর ব্যপারে কিছু জানেন না, তাদের বলি, শপিফাই শুরু হয় মাত্র ৩ বছর আগে একটা পুরো ইকমার্স সলিউশন হিসেবে। শপিফাই এর আইডিয়া টাই হল যে আপনাকে একটা ই-কমার্স ওয়েবসাইট বানানোর জন্য একদম ই চিন্তা করতে হবে না। শপিফাই এ বানাতে পারবেন কয়েক ক্লিক এ এবং শপিফাই পেমেন্ট মেথড ইত্যাদি সব ঝামেলা হ্যান্ডেল করবে। আপনার কাজ হবে শুধু প্রোমোট করা প্রোডাক্ট টা এবং কেউ অর্ডার করলে তার বাসায় পৌঁছে দেয়া। তাছাড়া, সাধারণ কম্পিউটার শিক্ষা যেমন “basic computer course“, “basic internet course” এগুলো করা থাকলে, চাকরি ছাড়াও আপনারা বিভিন্ন কাজ যেমন, “ফ্রিল্যান্সিং” বা বিভিন্ন মাধ্যমে ইন্টারনেট থেকে অনলাইনে টাকা আয় করতে পারবেন।