ওয়ার্ডপ্রেস কি?
কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের একটি অন্যতম শাখা হল ওয়ার্ডপ্রেস। এটি বিভিন্ন জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম ।
ওয়ার্ডপ্রেসের মাধ্যমে কন্টেন্টকে ম্যানেজ করে নানান রকম ফিচারের মাধ্যমে ডেভেলপ করে কন্টেন্টকে আরও বেশি ফুটিয়ে তোলা হয়। এর মধ্যে রয়েছে ইনবিল্ট টেমপ্লেট সিস্টেম। যা একজন ব্যবহারকারীকে স্মুথলি ব্লগ লেখার ক্ষেত্রে এবং ওয়েবসাইটে যেকোনো ধরণের থিম তৈরি করার ক্ষেত্রে বেশ সাহায্য করে। একজন গ্রাহকের চাহিদার উপর ভিত্তি করে অনেক ধরণের থিম এখানে রয়েছে— যা ব্লগ এবং ওয়েবসাইট ম্যানেজমেন্টের জন্য ব্যবহার করা হয়। ওয়ার্ডপ্রেসে প্লাগিন আর্কিটেকচার রয়েছে— যা একটি ব্লগের এক্সটেনশন এর সাথে মিলিতভাবে বিভিন্ন ফিচার অনুযায়ী কার্যাবলী সম্পন্ন করে।
ওয়ার্ডপ্রেস কেন শিখবেন?
বর্তমান সময়ে সবচেয়ে আলোচিত প্রশ্ন হল যে “ওয়ার্ডপ্রেস কেন শেখা উচিত”। যারা ওয়ার্ডপ্রেসে একেবারেই নতুন তাদের কাছে এই প্রশ্নটির উত্তর জানা আবশ্যক। এছাড়াও যারা কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম থেকে ওয়েব ডিজাইনে ক্যারিয়ার গড়তে চাইছেন তাদের জন্যও আবশ্যিক একটি বিষয় হল ওয়ার্ডপ্রেস।
কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল ওয়ার্ডপ্রেস। ব্লগিং প্লাটফর্মের মধ্যে দীর্ঘ ১৮ বছর যাবৎ তা একে অন্যের পরিপূরক হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ব্লগিং প্লাটফর্মে ওয়ার্ডপ্রেস অবিচ্ছেদ্য অংশ— বর্তমান প্রায় ৩৪% ওয়েবসাইট ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে তৈরি।
তাই আপনি যদি যুগের চাহিদা-বহুল ক্ষেত্র কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সম্পর্কে জ্ঞান আরোহণ করতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে ধাপে ধাপে এ সম্পর্কে পরিপূর্ণ জ্ঞান অর্জন করতে হবে। ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপমেন্ট শেখার-পূর্বে আপনাকে অবশ্যই এই সেক্টরের টেকনিক্যাল বিষয়গুলোতেও পরিপূর্ণ দক্ষতা অর্জন করতে হবে। এছাড়াও ওয়ার্ডপ্রেস একই সাথে নানান ধরণের ফিচার, মাল্টিমিডিয়া সাপোর্ট, এসইও অপটিমাইজেশন করার ক্ষেত্রে সাহায্য করে
ওয়ার্ডপ্রেসে ক্যারিয়ার গঠন করতে কেমন শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রয়োজন?
আপনি যদি ওয়ার্ডপ্রেসে এক্সপার্ট হতে চান তাহলে এটি সম্পর্কে খুঁটিনাটি জেনেই এই সেক্টরে ক্যারিয়ার গড়ার চেষ্টা করতে হবে। এছাড়া প্রযুক্তি, প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজসহ টেকনিক্যাল টার্মগুলোতে প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করতে হবে। এভাবে আপনার যদি ওয়ার্ডপ্রেস সম্পর্কে পরিপূর্ণ দক্ষতা তৈরি হয় তবে এ সেক্টরে ক্যারিয়ার গঠন সহজ হবে।
ওয়ার্ডপ্রেস শিখতে শিক্ষাগত যোগ্যতার চেয়ে উপরের বিষয়গুলো মনে রাখা বেশি গুরুত্বর্পূণ। আর নিয়মিত শেখার মানসিকতাও প্রয়োজন। তবেই আপনি একজন ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েব ডেভলপার হিসাবে ভালো করবেন।
ওয়ার্ডপ্রেস শিখে কেমন ক্যারিয়ার গড়া যায়?
এ সেক্টরে ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে আপনাকে কিছু বিষয় সম্পর্কে ভালো ধারণা রাখতে হবে যেমন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কীভাবে কাজ করে, এইচটিএমএল (HTML), সিএসএস (CSS), জাভাস্ক্রিপ্ট (JavaScript), মাইএসকিউএল (MySQL), অপারেটিং সিস্টেম, সার্চ ইঞ্জিন, ইত্যাদি।
একজন ওয়ার্ডপ্রেস ডেভলপার মূলত ফ্রিল্যান্সিং কাজ করেন এবং বিভিন্ন ওপেন সোর্স প্রজেক্টে কাজ করেন। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান প্রার্থীর কোডিং স্কিল এবং থিম কাস্টমাইজেশন দক্ষতাকে বিবেচনা করে কর্মী নিয়োগ দেন। আর এভাবে আপনি ওয়ার্ডপ্রেস শিখে খুব সহজে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ফ্রন্ট-এন্ড ডেভেলপার হিসাবে কাজ করতে পারবেন।
সুতরাং বলা যায় ওয়ার্ডপ্রেস স্কিল ডেভলপ করে আপনি যেকোনো প্রতিষ্ঠানে এন্ট্রি লেভেল পজিশনে ওয়েব ডেভলপার, মিড লেভেল ওয়েব ডিজাইনার এবং ফন্ট-এন্ড ডেভেলপার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন
ওয়ার্ডপ্রেস শেখা নিয়ে কয়েকটি পয়েন্ট
একটি ওপেন সোর্স মাধ্যম ওয়ার্ডপ্রেস ফ্লেক্সিবিলিটি মেইনটেইন এসইও অপটিমাইজেশন প্লাগিন (Plugin) এবং Widgets কাস্টম ডিজাইন ফ্লেক্সিবিলিটি বেশ সহজ সব ধরণের মাল্টিমিডিয়া সাপোর্ট অসাধারণ ক্যারিয়ার গঠন
কোর্স ফী
১৫০০০ টাকা
Classes
সপ্তাহে তিনদিন (শুক্রবার, শনিবার, রবিবার)
Duration:
৩ মাস
একজন ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপারের স্যালারি কেমন?
একজন ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপারের বেতন ঠিক কত হবে তা সম্পূর্ণরূপে তার দক্ষতার উপর নির্ভর করে। একজন ডেভেলপার ঠিক কত দ্রুততর সময়ে নতুন প্লাগিন তৈরি করতে পারে, প্রবলেম সলভ করতে পারে তার উপর সম্পূর্ণরূপে তার স্যালারি নির্ভর করে। তবে একজন নতুন ওয়েব ডেভেলপারের স্যালারি অনেক বেশি তা ভাবা নিছক বোকামি ছাড়া আর কিছুই নয়। সাধারণত দক্ষতা এবং যোগ্যতা অনুযায়ী আন্তর্জাতিক বাজারে একজন দক্ষ পর্যায়ের ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপার ৪৫-৫০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে এক-দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারে। আপনি যদি নিজেকে একজন হাই-পেইড ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই পিএইচপি (PHP), জাভাস্ক্রিপ্ট শিখতে হবে। বর্তমানে অনলাইনে অনেক কোর্স রয়েছে যেখান থেকে আপনি এই বিষয়ে পরিপূর্ণ দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন যেমন Abloom It Center তাই উপযুক্ত দক্ষতা অর্জন করে আপনি ভালো মানের প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে পারেন।